1. admin@julypost.com : admin :
  2. shibli.bd390@gmail.com : MD. SHIBLI AHMED SHOBUJ : MD. SHIBLI AHMED SHOBUJ
  3. czsourav277@gmail.com : Sourav : Sourav Alam Prodhan Prodhan
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাইয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় : জাতিসংঘ ক্ষুদ্রঋণের প্রসারে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা বিষয়ক এ্যালেক্স কাউন্টসের বই ‘স্মল লোনস, বিগ ড্রিমস’ আমরা এখন বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী ও সৃজনশীল: প্রধান উপদেষ্টা ইনজুরি নিয়ে খেলেও সেঞ্চুরি হৃদয়ের, ভারতের লক্ষ্য ২২৯ পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ : অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কী বলেছিলেন তুলসী গ্যাবার্ড  ‘মব’ আর ‘ডেভিল’ এর পাল্লায় হিমশিম অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ লিভারপুলের হতাশা- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে পটুয়াখালীতে হামলার অভিযোগে বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

‘সাগর-রুনি হত্যায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা মুখ খুলেছেন’

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ মোট শেয়ারিং

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় আগের সরকার জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান।

অপরদিকে তাদের আইনজীবী শিশির মনির বলছেন, উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।   

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি।

পরে আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৩ অক্টোবর এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর র‍্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়। তারপর তারা সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনেকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
 
আইনজীবী শিশির মনির জানান, এটি চাঞ্চল্যকর এবং দুর্ভাগ্যজনক। ১৩ বছরেও এই মামলার তদন্ত শেষ করে রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রীয় লেভেলে বড় ধরনের ব্যর্থতার ফল। এই সরকার আসার পর হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে উচ্চতর টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এই টাস্কফোর্স ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্তের সারবত্তা পেশ করবেন।  

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট (অগ্রগতি) হাতে এসেছে। সময়ের ব্যবধানে এই ডেভেলপমেন্ট নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন সাবমিট করা হবে। অতীতে এই মামলাটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেওয়া হয়নি; এই মর্মে তদন্ত রিপোর্টে কিছু তথ্য-উপাত্ত এসেছে। অতীতে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আইনি পদ্ধতিতে চলতে দেওয়া হয়নি।

এ আইনজীবীর আশা, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা একটি গ্রহণযোগ্য বিচার পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত তদন্ত রিপোর্ট আদালতের সামনে দাখিল করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের বিষয়টির সঙ্গে স্পর্শকাতরতা আছে। এক ধরনের গোপনীয়তা আছে। তবে যাদের এক্সামিন করা হয়েছে, আলোচনা করেছেন, আলাপ করেছেন, অন্য মামলায় জেলে আছেন, এরকম ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। যারা কিছুটা বক্তব্য দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের ব্যাপারে তারা মুখ খুলেছেন।  

তবে আদালতের বাধ্যবাধকতার কারণে বর্তমানে সবটুকু জানানো উচিত নয় মন্তব্য করে শিশির মনির বলেন, কিছু ইন্ডিকেশন (আলামত) আসছে যে, অতীতে তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্টারেস্ট ইম্পিলিমেন্ট করার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়াকে সঠিক আইনি পথে পরিচালিত হতে দেওয়া হয়নি। এগুলো তদন্তের অংশ হবে। কারা কারা ছিলেন, কারা বাধা দিয়েছেন, কীভাবে দিয়েছেন। যারা রিট করেছেন তারা কেন রিট করেছেন। কেন র‌্যাবকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। র‌্যাবতো কোনো তদন্তকারী সংস্থা না। সেটিও খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংস্থা।

শিশির মনির আরও বলেন, অতীতে উচ্চ পর্যায় থেকে এখানে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই উচ্চ পর্যায় চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্টে দেখানো হবে। আপাতত বলাটা সীমীচীন নয়।

‘আগের সরকার জড়িত’
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, তদন্ত তো আমরা বুঝি না। তারপরও সব কিছু দেখে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাই। আমরা আশা করবো যেহেতু আগের সরকার নেই , আমরা সব সময় মনে করতাম যে, আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট কেউ বা সরকার স্বয়ং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ যত ধরনের নাটক হয়েছে, যে ডিএনএ টেস্ট থেকে শুরু করে আমাদের হয়রানি এবং নানা সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন। যেমন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বেডরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তার না। এসব থেকে আমরা মনে করি তৎকালীন সরকার বা তাদের সংশ্লিষ্ট কেউ এটার সঙ্গে জড়িত। সরকার আন্তরিক হলে ১২ বছর ধরে তদন্ত চলতো না। র‌্যাবের মতো একটা বাহিনী যারা তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত না…।  

তিনি বলেন, এতবার আশাভঙ্গ ঘটেছে, যার ফলে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছি না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত রিপোর্ট কী আসছে সেটা জানতে পারছি।

পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাব: মেঘ
মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, আগে তো কিছু হতো না। এখন তো দেখছি যে ওরা কাজ করছে। তো একটু হলেও আমরা আশাবাদী। আশা করা যাচ্ছে পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2025 July Post
Customized By BlogTheme